গঠনতন্ত্র
ধারা- ১ এসোসিয়েশনের নাম
“ওয়ার্ল্ড মীরসরাই এসোসিয়েশন”
ধারা- ২: এসোসিয়েশনের বর্তমান ঠিকানা
হাওয়া ভবন (তয় তলা)
বারইয়ারহাট পৌরসভা,
মীরসরাই, চট্টগ্রাম ।
ধারা- ৩: এসোসিয়েশনের কার্যক্রম আওতাভূক্ত এলাকা
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা মীরসরাই উপজেলার প্রবাসীদের নিয়ে এই এসোসিয়েশন গঠিত হবে।
ধারা- ৪ : এসোসিয়েশনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য
ক) এসোসিয়েশনটি হবে অরাজনৈতিক এবং অসাম্প্রদায়িক ও ট্রেড ইউনিয়ন প্রভাব মুক্ত সমাজকল্যাণ ও স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশন
খ) প্রবাসীদের একটি কল্যাণ সমিতি গঠন করে তাদের জীবনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার উন্নতি করার উদ্দেশ্যে সকলে একত্রিত হয়ে এসোসিয়েশন সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের নিজেদের সংগঠিত করা।
গ) সদস্যদের সমস্যা ও অসুবিধাসমূহ চিহ্নিত করা এবং সম্পূর্ণ সাংবিধানিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অধিকতর সুবিধাদি পেতে চেষ্টা করা।
ঘ) সদস্যদের আর্থিক সুবিধা লাভে অনুপ্রাণিত করা।
ঙ) সরকার নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে গঠনমূলক উদ্দেশ্যগুলির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা কাজে লাগানো।
চ) সদস্যদের এবং তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, ভ্রাতা ও ভগ্নীদের সাধারণ কল্যাণ সাধন করা।
ছ) সদস্যদের এবং তাদের উপরোক্ত সম্মন্ধীয় (চ) অনুচ্ছেদ উল্লেখ্য আত্মীয় স্বজনদের সামাজিক কর্মের ও বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
জ) সদস্যদর এবং তাদের উপরোক্ত সম্বন্ধীয় (চ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ্য আত্মীয় স্বজনদের শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধাদি যোগানো। যেমন- বৃত্তি প্রদান করা বা সম্ভাব্য আর্থিক সহযোগিতা করা।
ঝ) সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা ও অন্তরংগ বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করা।
ঞ) সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা এবং পেশাগত মানবৃদ্ধির সাথে সমানুপাতিক যথোপযুক্ত কর্ম সংস্থানের চেষ্টা করা।
ট) সামাজিক কাজে অনিপ্রানিত করা।
ঠ) বয়স্ক শিক্ষা তথা নিরক্ষরতা দূরীকরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।
ড) সদস্যদের জন্য বিনোদন মূলক সুবিধা যোগানো।
ঢ) সম্ভাব্য উপায়ে দুঃস্থদের সহায়তা করা।
ণ) বিভিন্ন জাতীয় উৎসব, নিয়মিত ব্যবধানে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সম্পাদনা করা।
ত) সংবাদ পত্র, মাসিক পত্রিকার বন্দোবস্ত, পাঠাগার সৃষ্টি করা।
থ) সদস্যদের পেশার সর্বোৎকৃষ্ট ঐতিহ্য অনুযায়ী তাদের নিজেদের নিয়মানুবর্তিতা সম্পর্কে সজাগ করা এবং তাদের পেশাগত পদ ও পদমর্যাদার উন্নয়ন করার প্রচেষ্টা চালানো।
দ) সদস্যদের উন্নতির জন্য সহায়ক সকল প্রকার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সহিত আলেঅচনা করে তা নিষ্পত্তিকরণ।
ধ) অন্যান্য বিষয়ে যা সময় সময় কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক উপযুক্ত মনে করা হবে।
ন) অন্য যে কোন সমস্যা বা বিচার্য্য বিষয় নিষ্পত্তি করা যা সভাপতির অনুমতিক্রমে উত্থাপন করা যাবে।
ধারা- ৫: সদস্যপদ
ক) সাধারণ সদস্যপদ : জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে মীরসরাভ যে কোন প্রবাসী এই এসোসিয়েশনের নিয়ম-নীতি পালন পূর্বক সাধারণ সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন। ভর্তি ফি বাবদ টাকা ৭৫.০০ এবং ভর্তি ফরম বাবদ টাকা ২৫.০০ এবং মাসিকল চাঁদা ১০০.০০ টাকা হারে প্রদান করতে হবে। তবে এই সল হার পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তন বা পরিবর্ধন যোগ্য।
খ) আজীবন সদস্যপদ লাভ : এককালীন ১০,০০০/= (দশ হাজার) টাকা প্রদান পূর্বক অথবা সমপরিমাণ মূল্যের যে কোন সম্পত্তি এসোসিয়েশনকে দান করলে এবং কার্যকরী পরিষদ/সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় সংগঠনের জন্য হিতকর এমন কার্য করেছেন, তাকে আজীবন সদস্য হিসেবে গণ্য করা যাবে। কিন্তু কোন আজীবন সদস্য যদি সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের কোন পদে প্রতিদ্ধন্দিতা করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে নিয়ম অনুযায়ী মাসিক চাঁদা প্রদান করতে হবে।
গ) দাতা সদস্য : যদি কোন ব্যক্তি এই সংগঠনে এক কালিন ২৫,০০০/= (পঁচিশ হাজার) টাকা নগদ প্রদান করেন বা সমমূল্যের কোন সম্পত্তি সংগঠনের নামে দান করেন তবে তিনি দাতা সদস্য পদ লাভ করবেন। তার বেলায় কোন মাসিক চাঁদা প্রয়োজ্য নহে।
ঘ) উপদেষ্টা সদস্য : ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না। কিন্তু যথোপযুক্ত নিয়ম অনুযায়ী তারা কার্যকরী পরিষদে যে কোন পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন এবং কার্যকরী পরিষদে পরামর্শ দাতা হিসেবে কাজ করবেন।
ঙ) পৃষ্ঠিপোষক : কাযৃকরী পরিষদের অনুমতি সাপেক্ষে সামাজিক কর্মে উৎসাহী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ পৃষ্ঠপোষক হবেন। তবে তাঁদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
ধারা- ৬: সদস্যপদ বাতিল
ক) কার্যকরী পরিষদের নিকট গ্রহণযোগ্য শর্তে লিখিত পদত্যাগ দ্বারা।
খ) একাধারে ৩ (তিন) মাস মাসিক চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে।
গ) উপযুক্ত ও যথেষ্ট কারণ ব্যতিত পর পর ৩ (তিন) টি সাধারণ সভায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে।
ঘ) এসোসিয়েশনের স্বার্থের হানিকর আচরণ বা কাজ করলে।
ঙ) পেশার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোন অপরাধে আদালতে দন্ড প্রাপ্ত হলে।
চ) মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটলে।
ছ) মৃত্যু জনিত কারণে।
জ) কোন সদস্য বেতন, ভাতাদি ও সম্মানী গ্রহণ করলে।
ঝ) প্রবাস ত্যাগ করে দেশে স্হায়ী হলে।
ধারা-৭: সভ্যপদ পুনরুদ্ধার
ক) কোন সদস্যগণের ৬ নম্বর ধারার যে কোন কারণ সদস্য পদ বাতিল হলে, নুনরায় সদস্য পদ লাভের জন্য আবেদন করলে তাঁকে অবশ্যই বকেয়া সমুদয় টাকা পরিশোধ পূর্বক অতিরিক্ত ভর্তি ফি বাবদ ৫০০.০০ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে সদস্য পদ পুনরায় বহাল করা যাবে।
খ) ন্যায় সংগত কারণ প্রদর্শনে কার্যকরী পরিষধ যেমন সিদ্ধান্ত নেন বা জানতে চান তার স্বপক্ষে সদোত্তর পাওয়া গেলে।
গ) পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোধিত হলে।
ধারা- ৮: কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত কর্মকর্তার প্রতি অনাস্থা
এসোসিয়েশনের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যদের লিখিত মতামতের ভিত্তিতে অথবা সাধারণ সভায় অনুরূপ মতামতের ভিত্তিতে কোন নির্বাচিত কর্মকর্তার প্রতি অনাস্থা কার্যকর করা যাবে।
ধারা-৯: শাখাসমূহ
বর্তমানে কোন শাখা নেই তবে ভবিষ্যতে এসোসিয়েশনের সুবিধার্থে শাখা পরিষদ সৃষ্টি করা হবে এবং যথাসময়ে তা নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করা হবে। শাখা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের কার্যকরী পদের পদমর্যাদা লাভ করবেন। শাখা অফিস কেন্দ্রীয় অফিস কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শাখা কার্যলয় স্থাপিত করা হলে ৭ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
ধারা-১০: সংগঠনিক কাঠামো
সংগঠনের নিম্নলিখিত কাঠামো থাকবে। যেমনঃ-
ক) সাধারণ পরিষদ।
খ) কার্যকরী পরিষদ।
গ) শাখা পরিষদ (যখন শাখা পরিষদ গঠন করা হবে)।
ঘ) উপদেষ্ট্য পরিষদ।
ধারা-১১: এসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের অবকাঠামো
ক) সাধারণ পরিষদ সংগঠনের সকল সদস্য দ্বারা গঠিত হবে এবং সর্বোচ্চ অংশ হিসেবে পরিগণিত হবে।
খ) এসোসিয়েশনের প্রগতি ও সমস্যাসমূহ আলোচনা করবে।
গ) এসোসিয়েশনের স্বার্থে বার্ষিক প্রতিবেদন, বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য বার্ষিক বাজেট সহ অন্যান্য বিষয়সমূহ অনুমোদন করবে।
ঘ) কার্যকরী পরিষদের দপ্তর বাহক ও সদস্য নির্বাচিত করবে।
ঙ) সভায় বিষয় সূচীতে উল্লেখ্য যে কোন প্রস্তাব আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
চ) সর্বদাই গঠনতন্ত্রের আদর্শ ও উদ্দেশ্যসমূহ মেনে চলবে।
ছ) কার্যকরী পরিষদের উপর সার্বভৌমত্ব থাকবে।
জ) সাধারণ পরিষদ সদস্য প্রত্যেকেরই ভোটাধিকার থাকবে।
ঝ) এসোসিয়েশনের কার্য ও কার্যক্ষেত্রসমুহের ব্যবস্তা করবে।
ঞ) কার্যকরী পরিষদের সমুদয় কার্যের অনুমোদন দিবেন।
ট) বিভিন্ন সময়ে কার্যকরী পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে গ্রহণ করবে।
ধারা-১২: কার্যকরী পরিষদের অবকাঠামো
সাধারণ সদস্য কর্তৃক ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) জন সদস্য নিয়ে কার্যকরী পরিসদ মাত্র ২ (দুই) বৎসরের জন্য গঠিত হবে বা নির্বাচিত হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলী এই পরিষদই সম্পাদন করবে।
এক্সিকিউটিভ কমিটি/কার্যকরী পরিষদ:
পদের নাম সংখ্যা
১। প্রেসিডেন্ট ১ (এক) জন
২। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ১ (এক) জন
৩। ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩ (তিন) জন
৪। জেনারেল সেক্রেটারী ১ (এক) জন
৫। জয়েন্ট সেক্রেটারী ২ (দুই) জন
৬। এসিঃ জেনারেল সেক্রেটারী ৩ (তিন) জন
৭। অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ১ (এক) জন
৮। এসিঃ অর্গানাইজিং সেক্রটারী ১ (এক) জন
৯। অফিস সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১০। অফিস সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১১। পাবলিসিটি সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১২। এসিঃ পাবলিসিটি সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১৩। স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১৪। সোস্যাল ওয়েলপেয়ার সেক্রেটারী ১ (এক) জন
১৫। এক্সিটিউটিভ কমিটি মেম্বার ১৬ (ষোল) জন
মোট ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) জন
ধারা- ১৩: কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাগণের দায়িত্ব ও ক্ষমতা
১। প্রেসিডেন্ট:
ক) তিনি এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক প্রধান হিসেবে গঠনতন্ত্র, উপবিধি ও রুলস অনুযায়ী এসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি করবেন।
খ) তিনি সব সভার সভাপতি হিসেবে সভা পরিচালনা করবেন এবং যে কোন সভা আহ্বানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে পরামর্শ দিতে পারবেন।
গ) গঠনতন্ত্রের পবিত্রতা রক্ষা ও এসোসিয়েশনের স্বার্থ সংরক্ষন।
ঘ) বির্তকমূলক যে কোন বিষয়ে দুই পক্ষে সমান ভোট হলে তিনি নিজ ক্ষমতা বলে একটি অতিরিক্ত ভোট দিতে পারবেন।
ঙ) জরুরী অবস্থায় এসোসিয়েশনের জন্য কল্যাণকর যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় তা অনুমোদন জন্য পেশ করতে হবে।
চ) ১ (এক) জন সদস্যকে সাবধান করার পরেও তার অসদাচরণ ও অবাধ্যতার জন্য তাকে উপস্থিত সদস্যদের সহিত পরামর্শ করে সভা হতে বহিস্কার করার ক্ষমতা সংরক্ষন করবেন।
ছ) গঠনন্তের যে কোন ধারা, উপ-ধারা, সদস্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিবর্তন বা সংশোধন কিংবা পরিবর্ধন করতে পারবেন।
জ) তিনি সকল প্রকার, বিল ভাউচার অনুমোদন করবেন এবং যাবতীয় খরচাদি অনুমোদন করবেন।
ঝ) অপরিকল্পিত ব্যয়ের জন্য সর্বোচ্চ ২,০০০/= (দুই হাজার) টাকা পর্যন্ত হাতে রাখতে পারবেন এবং ২,০০০/= (দুই হাজার) টাকার উর্দ্ধে ব্যয়ের জন্য কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন নিবেন।
ঞ) তিনি সংগঠনের সর্বময় কার্যের তদারকি করবেন।
২। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টঃ
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টর উপদেশ মোতাবেক উক্ত সংগঠনের কার্য সম্পাদন করবেন এবং সব সময়ে প্রেসিডেন্টের কার্যে সহায়তা ও পরামর্শ দিবেন এবং প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে সংগঠনের প্রেসিডেন্টর যাবতীয় কাজ-কর্ম চালিয়ে যাবেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তদারকি করবেন।
৩। ভাইস প্রেসিডেন্টঃ
প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এর অনুপ্রস্থিতে তিনি যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টকে উক্ত সংগঠন সুষ্ঠ পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্ব প্রকার কার্যে সহায়তা করবেন এবংপরামর্শ দিবেন।
৪। জেনারেল সেক্রেটারীঃ
ক) তিনি এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী। উক্ত সংগঠন পরিচালনা দায়-দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত থাকবে। যে কোন ধরণের মিটিং করার পূর্বে প্রেসিডেন্টের পরামর্শক্রমে সভা তারিখ, সময় ও আলেচ্য বিষয় নির্ধারণ পূর্বক বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন। তিনি সভাসমূহের কার্য বিবরণী লিপিব্ধ ও সংরক্ষণ করবেন।
খ) তিনি কার্যকরী পরিষদ সাথে সম্ভাব্য সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং সংগঠনের নিত্যকার কাজ-কর্ম প্রেসিডেন্ট ও পরিষদের গোচরে আনবেন।
গ) তিনি সংগঠনের পক্ষে চিঠিপত্র গ্রহন ও প্রেরণ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ স্থাপন করবেন। গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড সংররক্ষণ করবেন।
ঘ) তিনি এসোসিয়েশনের সকল সম্পত্তির দেখাশুনা ও রক্ষনাবেক্ষণ করবেন।
ঙ) আদালত বা অন্যত্র মামলা মোকদ্দমা দায়ের, তদবির- পরিচালনা ও বিভিন্নমুখি সমস্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
চ) তিনি সংগঠনের পক্ষে বিভিন্ন প্রকার দান, উপহার ও আদায়কৃত চাঁদার হিসাব বুঝে লবেন।
ছ) এসোসিয়েশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব তত্ত্বাবধান, বাজেট প্রণয়ন ও বার্ষিক কার্য বিবরণী তৈরী করবেন।
জ) তিনি কার্যকরী পরিষদের নিকট সংগঠনের বিভিন্ন প্রতিবেদন পেশ করবেন।
ঝ) তিনি সাধারণ পরিষদের নিকট বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবেন।
ঞ) ১০০০/= (এক হাজার) টাকা পর্যন্ত এসোসিয়েশনের পক্ষে খরচেয়ব্যাপারে কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মতিক্রমে ব্যয় করা তা এখতিয়ারের মধ্যে থাকবে। তবে এর অতিরিক্ত খরচ করতে হলে প্রতি ভাউচার, সাব ভাউচারের সভাপতির অনুমোদন নিতে হবে। সভাপতি কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে এই অনুমোদন প্রদান করবেন।
ট) প্রেসিডেন্টের অনুমতিক্রমে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন।
৫। জয়েন্ট সেক্রেটারীঃ
জেনারেল সেক্রেটারীর অনুপস্থিতিতে জয়েন্ট সেক্রেটারী, জেনারেল সেক্রেটারীর সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব বহন করবেন এবং জেনারেল সেক্রেটারীর সকল প্রকার কার্যে সহায়তা করবেন।
৬। এসিসট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারীঃ
এসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারীও জয়েন্ট সেক্রেটারীকে সর্ব কার্যে সহায়তা করবেন এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দায়-দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জেনারেল সেক্রেটারী ও জয়েন্ট সেক্রেটারীর অনুপস্থিতিতে তাদের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবেন এবং চূড়ান্ত করনার্থে জেনারেল সেক্রেটারী উপস্থিত হলে তাঁর অনুমোদন লবেন।
৭। অর্গানাইজিং সেক্রেটারী:
সংগঠন যাতে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয় সেদিকে বিশেষ নজর রেখে তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন এবং সংগঠনের স্বার্থে তিনি বিভিন্ন সম্পাদকবৃন্দের যথাযথ কাজের প্রতি কেয়াল রাখবেন এবং সকল সাংগঠনিক বিষয়ে প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারীর সাথে পরামর্শ করবেন।
৮। এসিঃ অর্গানাইজিং সেক্রেটারী:
অর্গানাইজিং সেক্রেটারীর অবর্তমানে তিনি যাবতীয় কার্যাদি চালিয়ে যাবেন এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়া কার্যকরী পরিষদের কারও খন্ডকালিন দায়িত্বও পালন করতে সম্মত থাকবেন।
৯। ফাইন্যান্স সেক্রেটারী :
সংগঠনের যাবতীয় আর্থিক রক্ষনা-বেক্ষণসহ হিসাব নিকাশের দায়িত্ব পালন করবেন। জেনারেল সেক্রেটারী নিকট বার্ষিক আয় ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রদান করবেন। সংগঠনকে আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারীকে সর্ব প্রকার পরামর্শ দান করবেন।
১০। অফিস সেক্রেটারী:
তিনি সকল সরকারী, বেসকারী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সঙ্গে সার্বিক যোগযোগ রক্ষা করবেন এবং সংগঠনের নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের দপ্তরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সকল কিছুই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত থাকবে।
১১। পাবলিসিটি সেক্রেটারী:
উক্ত সংগঠনের যাবতীয় প্রচারের দায়-দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এবং কার্যকরী পরিষদন কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব সমূহ পালন করবেন।
১২। প্রসিসট্যান্ট পাবলিসিট সেক্রেটারী:
সংগঠনের পক্ষে পাবলিসিটি সেক্রেটারীর অনুপস্থিতিতে যাবতীয় প্রচারের দায়-দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত দাযিত্বসমূহ পালন করবেন।
১৩। স্পোর্টস এগু কালচারাল সেক্রেটারী :
তিনি উক্ত সংগঠনের যাবতীয় সদস্যদের চিত্তবিনোদনের জন্য ও খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনী কার্যাবলী সম্পাদন করবেন তিনি গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের মাধ্যমে এসোসিয়েশনের সদস্যদের সাংস্কৃতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট থাকবেন।
১৪। সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী:
তিনি সংগঠনের কার্য এলাকায় যাবতীয় সমাজ কল্যাণমূলক কার্যে দায়-দায়িত্ব পালন করবেন এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
১৫। এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার:
উক্ত সদস্যগণ কার্যকরী পরিষদে সকল সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং জেনারেল সেক্রেটারী কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন সুনির্দিষ্ট কার্যসমূহ সম্পাদন করবেন। প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল সেক্রেটারীর সকল প্রকার কার্যে সহায়তা প্রদান করবেন।
ধারা-১৪: সভার নিয়মাবলী
ক) সাধারণ সভাঃ কমপক্ষে ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে প্রতি ১ (এক) বৎসর অন্তর অন্তর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং ২/৩ অংশ কোরামের প্রয়োজন হবে।
খ) কার্যনির্বাহী সভাঃ কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা প্রতিমাসে একবার আহ্বান করতে হবে, কমপক্ষে ৩ (তিন) দিন পূর্বে তারিখ, সময়, স্থান ও সূচীসহ নোটিশ প্রদান করতে হবে। এই সভার কোরাম হবে ২/৩ অংশ উপস্থিতিতে।
গ) জরুরী সভাঃ
১। সাধারণ সভাঃ ৩ দিনের নোটিশে আহ্বান করা যাবে। ২/৩ অংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। ২। কার্যনির্বাহী সভাঃ ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে ডাকা যাবে। ২/৩ অংশে কোরাম হবে। ঘ) বিশেষ সাধারণ সভাঃ যে কোন বিশেষ সাধারণ সভা ২১ (একুশ) দিনের নোটিশে আহ্বান করা যাবে। এই সবায় বিশেষ বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষয়ের আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশেষ এজেন্ডা লিপিবন্ধ করে যথরীতি নোটিশ প্রদান করতে হবে। ঙ) তলবী সভাঃ
১। কমপক্ষে ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচী (এজেন্ডা) বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে সকলেই স্বাক্ষরদান করে তলবী সভার নোটিশ কেবল মাত্র প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় প্রেসিডেন্ট/জেনারেল সেক্রেটারীর কাছে জমা দিতে পারবেন। ২। প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল সেক্রেটারী আবেদন প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে তলবী সভার আহ্বান না করলে তলবী সদস্যবৃন্দ একজনকে আহ্বায়ক করে ২২ দিন পর ১৫ দিনের নোটিশে উক্ত সভা আহ্বান করতে পারবেন তবে তলবী সভাসংগঠনের অফিসে ডাকতে হবে ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে এবং যে কোন সিদ্দান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। চ) মূলতবী সভা:
১) সাধারণ সভা নির্ধারিত সময়ের সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) মিনিট দেরীতে আরম্ভ করা যাবে অন্যথায় স্থগিতা হবে। ২) সাধারণ সভা ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) কোরামের অভাবে স্থগিত ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পরবর্তী সাধারণ সভার নোটিশ প্রদান করা হবে এবং ঐ স্থগিত সাধারণ সভাতে কোরাম না হলে যতজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং তাদের মতামত/সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে মনে করা হবে। ৩। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ২ (দুই) বার কোরামের অভাবে স্থগিত হলে তৃতীয়বার উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে এবং সাধারণ সদস্য হতে কো-অপ্ট করে কার্যকরী পরিষদের শূন্য/খালি পদ/সদস্য অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
ধারা-১৫ ভোটার এবং প্রার্থীর যোগ্যতা
উক্ত সংগঠনের সকল চাঁদা দানকারী সদস্যঃ ভোটার হবেন এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন। সাধারণ পরিষদের যে কোন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন। তবে একে অধিক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না এবং কোন সদস্যের প্রতি পদের জন্য একের অধিক ভোট প্রদান ককরার ক্ষমতা থাকবে না।
ধারা-১৬: নির্বাচন পদ্ধতি
ক) গোপন ব্যালট পেপারে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকল পরষিদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তক্রমে নির্বাচন সম্বন্ধে অন্য রকম নীতিও অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমনঃ- উপস্থিত সদস্যবৃন্দের কণ্ঠ ভোটার মাধ্যমে অথবা হাত উঠিয়ে অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মনোনয়ন দ্বারা অথবা প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন কার্য সম্পন্ন হতে পারে।
খ) কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের জন্য সংগঠনের গণ্যমান্য ৫ (পাঁচ) জন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়া নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং ১ (এক) জন প্রদাধন নির্বাচন কমিশনার থাকবেন এবং কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় কমিশন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন।
গ) কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের প্রদান নির্বাচন কমিশিনারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
ঘ) কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ পূর্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্বাচন কার্য সম্পন্ন করতে হবে।
ঙ) নির্বাচনের কমপক্ষে ১৫ (পনের) দিন পূর্বে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে ¦ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন। নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) তিন পূর্বে নির্বাচনের স্থান, দিন, তারিখ ও সময় নোটিশের মাদ্যমে ঘোষণা করবেন।
চ) নির্বাচনের ফলাফল নির্বাচন শেষ হওয়ার ৬ (ছয়) ঘন্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা বা প্রকাশ করবেন।
ছ) মনোনয়ন পত্রের জন্য নির্বাচন কমিশনার কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সার্বিক কর্মপন্থা অবলম্বন করবেন।
জ) কোন কারণ বশতঃ নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেলে বা নির্বাচন করা সম্ভব না হলে বা নির্বাচনে গোলযোগ সৃষ্টি হলে পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হবার পরবর্তী ৬ মাস পর্যন্ত বহাল থাকতে পারবে। তবে উল্লেখিত ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদের উপর বিশেষ দায়িত্ব থাকবে।
ধারা-১৭: কার্যকরী পরিষদের শূন্যপদে সদস্য নির্বাচন
কার্যকরী পরিষদের সময় সীমার মধ্যে কোন কার্যকরী পরিষদের কোন পদ শূন্য হলে তা সাধারণ পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে ঐরূপ শূন্য পদ বা পদসমূহ শূন্য হবার ৪৫ দিনের মধ্যে কার্যকরী পরিষদ দ্বারা অথবা সদস্যগণের ভোটদ্বারা অথবা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য কার্যকরী পরিষদ ভূক্ত অপরকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।
ধারা- ১৮: অর্থনৈতিক প্রশাসন (হিসাব)
বাংলাদেশ যে কোন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে সংগঠনের নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হবে। প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারী ও অর্থ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে এটার হিসাব খোলা হবে এবং উল্লেখিত ৩ (তিন) জনের মধ্যে যে কোন ২ (দুই) জনের স্বাক্ষরে ব্যাংক হতে টাকা উঠানো যাবে। তবে দুইজনের মধ্যে ফাইন্যান্স সেক্রেটারী অবশ্যই থাকতে হবে। সংগঠনের চাঁদা আদায়কারীগণ ৫০০.০০ (পাঁচশত) টাকার অধিক হাতে জমা হলে অবশিষ্ট যে কোন অংকের টাকা ব্যাংকে মজা দেবেন এবং ফাইন্যান্স সেক্রেটারীকে অবহিত করবেন। টাকার রশিদ হেফাজত সহকারে এসোসিয়েশন দপ্তরে জমা দেবেন। ব্যাংক হতে ২০০০/= (দুই হাজার) টাকার অধিক উঠাতে হলে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন আবশ্যক হবে।
ধারা- ১৯: সংগঠনের আয় এর উৎসসমূহ
ক) ভর্তি ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ।
খ) ভর্তি ফরম বিক্রয় বাবদ প্রতাপ্ত অর্থ ।
গ) সদস্যদের মাসিক চাঁদা আদায় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ।
ঘ) সদস্যদের কর্তৃক অনুদান বা দান বা প্রাপ্ত অর্থ।
ঙ) সরকার বা অন্য কোন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অর্থ।
চ) আজীবন সদস্য বা দাতা সদস্যদের কৃর্তৃক প্রদত্ত অর্থ হতে।
ছ) দেশী বা বিদেশী দাতা ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রাপ্ত অর্থ হতে।
ধারা- ২০: সংগঠনের অডিট বা নিরীক্ষা
সংগঠনের অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় অডিট প্রতি ১ (এক) বৎসর অন্তর করাতে হবে। সরকারী অনুমোদিত অথবা সংশ্লিষ্ট সমাজ সেবা কর্তকর্তা দ্বারা অডিট করাতে হবে। তাছাড়া নিবন্দীকরণ কর্তৃপক্ষ এর নিয়োজিত যে কোন কর্মকর্তা সংস্থার আয় ও ব্যায়ের হিসাব নিকাশ অডিট করতে পারবেন।
ধারা- ২১: গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন
গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা, উপ-ধারা সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হলে সাধারণ সভায় তা উত্থাপন করে ২/৩ (দুইতৃতীয়াংশ) সদস্যের অনুমোদন ক্রমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তা যথারীতি নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর কার্যকরী হবে।
ধারা- ২২: সাধারণ পরিষদের বিশেষ ক্ষমতা
সাধারণ পরিষদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যদের উপস্থিতিতে কার্যকরী পরিষদের যে কোন দপ্তর বাহক বা সদস্যদের সাংগঠনিক কাজে অনাগ্রহের জন্য দায়ী করে তাকে কার্যকরী পরিষদের পদ বাতিল করতে পারবেন এবং সেই সময় হতে তিনি সাধারণ সদস্য হিসেবে গন্য হবেন এবং সাধারণ পরিষদ তার স্থলাভিসিক্ত লোক নিয়োগ করবেন।
ধারা- ২৩: সংগঠনের বিলুপ্তি
যদি কোন কারণ বশতঃ সংগঠনের বিলুপ্তির প্রশ্ন উঠে বা ভাঙ্গিয়া যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তবে সাধারণ সভায় ৭৫% ভাগ সদস্যদের লিখিত মতের ভিত্তিতে সংগঠনের স্থাবর/অস্থাবর এবং যাবতীয় বিষয় সম্পত্তি নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তা কার্যকরী হবে।